স্মৃতিগন্ধা
সাইকেলের টুংটাং শব্দটা ঠিক সেই পারুর। মাটির উঁচু রাস্তা থেকে ক্ষেতের আইল ঘেঁষা সরু মেঠোপথ ধরে নেমে আসছে ফরিদ। তার পরনে লুঙ্গি। গায়ে হাফহাতা শার্ট। শার্টের ওপর আড়াআড়ি চাদর জড়ানো। তবে সাইকেল চালাতে গিয়ে চাদরটা সরে বুকের খানিকটা উম্মুক্ত হয়ে আছে। ভোরের হিমেল হাওয়ায় চোখ মুখ আড়ষ্ট……………
উপন্যাসটি শুদু যে আমাকে গল্প জানা বা পড়ার তৃপ্তি জুগিয়েছে তা নয়। এই উপন্যাস আমাকে কল্পনার জগতকে আরও বিস্তৃতভাবে জানতে শিখিয়েছে। যেখানে আমি শুদু চেষ্টা করেছি কয়েকটি চরিত্রের সাথে কথা বলতে। তারা যে আমার কাছে খুব আপন হয়ে গিয়েছিলো। পারু যখন রতনপুর অচেনা এক স্টেশনে গভীর রাতে ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছিল তখন যেন আমার অবচেতন মন পারুর সাথে কথা বলতে বলতে অস্থির হয়ে উঠেছিলো। বারবার বলতে ইচ্ছে হয়েছিলো পারু এই অচেনা স্টেশনে নেমে না ।
ইতি স্মৃতিগন্ধা
কোনো এক প্রাগৈতিহাসিক নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তির প্রাচীরে গন্তব্যহীন অন্ধকার হয়ে সেঁটে রইল তারা। অযুত বাধার অজস্র পথ পেরিয়ে এসেও যেন ডিঙাতে পারল না অনভ্যাসে অগম্য হয়ে ওঠা অকর্ষিত অভিমানী মনভূমিটুকু।
কিন্তু তাদের মন ও শরীর আলগোছে হাওয়ায় ছড়িয়ে দিতে লাগল স্মৃতির সুবাস। সেই সুবাস কি ডিঙিয়ে যেতে পারবে এই অলঙ্ঘনীয় দ্বিধার দেয়াল?
হেমন্তের বিষণ্ণ সন্ধ্যায় দূর কোথাও থেকে ভেসে আসছে অদ্ভুত হাহাকারের সুর। বুকের ভেতর আলগোছে নেমে আসছে মেঘ কিংবা কুয়াশা। কিংবা গাঢ় শীতল অন্ধকার। নাম না জানা দুঃখ। সেই দুঃখের ভেতর মন কেমনের হাওয়া। সেই হাওয়ায় ওই বিষাদ অন্ধকারে যেন স্থির হয়ে আছে প্রাচীন পাথরে খোদাই করা দুটি মূর্তি।
কী আশ্চর্য, সেই মূর্তির বুকেও হঠাৎ জলের ঢেউয়ের মতো ছলাৎ ছলাৎ শব্দ হতে থাকে
Reviews
There are no reviews yet.